দেশের একসময়ের আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন। অনেকটা গোপনেই আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখেই সংসার করছিলেন তিনি।
তবে সেই সুখের সংসারে বাজছে এখন বিচ্ছেদের সুর। রোববার (২১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর থেকেই সেই গুঞ্জন আরও পোক্ত হয়। বিচ্ছেদের বিষয়ে সানাই গণমাধ্যমকে জানায়, আমাদের আর একসঙ্গে থাকা হচ্ছে না। গলায় কাঁটা নিয়ে কতদিন থাকা যায়। অনেক চেষ্টা করেছি সংসারটা যেন না ভাঙে। একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে দু’জনের চেষ্টা থাকা লাগে। কিন্তু ওর মাঝে সেটা দেখি না।’
তিনি আরও বলেন, আমার শাশুড়ির জন্যই আমাদের সংসারটা ভাঙনের পথে। প্রতিনিয়তই শাশুড়ি আমাকে নিয়ে সমস্যা তৈরি করছে। এ নিয়ে স্বামীকে বললেও সে চুপ থাকে। জুন মাসের মাসের ৭ তারিখ কোর্টের মাধ্যমে আমাদের আনুষ্ঠানিক ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে।
এর আগে সানাই তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বিবাহ এবং বিচ্ছেদ দুইটাই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এগুলা জীবনের অংশ। এবং সব দোষ যে মেয়েদেরই- এমনটাও ভাবার কিছুই নাই রে ভাই। স্বামী/স্ত্রী উভয়েরই কারণে বিচ্ছেদ হয়। একজনের দোষ খুঁজে লাভ কী? যাই হোক জীবন এমনিই…।’
এর আগে সানাই এক ভিডিওবার্তায় জানান, শোবিজ তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেকেই ভিডিও বানাচ্ছে। যা তার নজরে এসেছে। কিছু ভিউ পাওয়ার আশায় এসব ‘বানোয়াট’ ভিডিও নির্মাণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এই মডেল-অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, সানাইয়ের অধিকাংশ কাজই সমালোচিত। একসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা বিচরণ ছিল তার। অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীকে বিয়ে করছেন বলে আলোচনায় আসেন তিনি। যদিও পরে শোনা যায়, মন্ত্রী নয় এমপিকে বিয়ে করছেন। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন সানাই। তারপর থেকেই আর আলোচনায় নেই তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচল থাকলেও আগের মতো খোলামেলাভাবে আর দেখা যায় না তাকে।